AOL Desk: প্রস্রাবে স্ফটিক বা ক্রিস্টাল জমে ছোট ও শক্ত পাথর তৈরি হয় কিডনিতে। বেশিরভাগ মানুষের শরীরে প্রস্রাবের মধ্যে প্রাকৃতিক রাসায়নিকগুলি এই পাথরগুলোকে বড় হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিডনিতে পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে এবং একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করতে হতে পারে। পাথরের কারণে যে সব ঝুঁকি থাকতে পারে তা বোঝার জন্য রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হয়। তার পর কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিডনিতে দুই প্রকার পাথর হয়। সব চেয়ে সাধারণ হল ক্যালসিয়াম পাথর; অন্যটি হল ইউরিক অ্যাসিড পাথর। যে ধরনের পাথর কিডনিতে পাওয়া যায় তার উপরে নির্ভর করে ডায়েট প্ল্যান ও চিকিৎসা করা হয়। এছাড়াও, পাথর যাতে আবার না হয় সেই দিকেও নজর রাখা চিকিৎসকের দায়িত্ব। পাথর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সবার জন্য একরকম ডায়েট হয় না। কিন্তু কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের জন্য প্রতি দিন কমপক্ষে বারো গ্লাস জল পান করতে হবে।
বিভিন্ন রসালো ফল যেমন কমলালেবুর রস ইত্যাদি পান করতে হবে, যাতে শরীরে ভিটামিন C-র মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
দিনে তিনবার প্রতিটি মিলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পশুজাত প্রোটিন যেমন মাংস, ডিম ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
খাবারে নুনের পরিমাণ যেন কম থাকে। অতিরিক্ত চিনি এবং বেশি মাত্রায় ফ্রুক্টোজ দেওয়া কর্ন সিরাপ এড়িয়ে চলতে হবে।
ফসফেট এবং অক্সালেটযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
এমন ক্রিয়াকলাপগুলি এড়িয়ে চলতে হবে যা শরীরের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তার মধ্যে রয়েছে বেশিমাত্রায় ব্যায়াম, সনা, স্পা বা অ্যালকোহল পান করা।
কয়েকটি জরুরি কথা
কিডনিতে পাথর হওয়া যে কোনও ব্যক্তির জন্য বড় যন্ত্রণার উৎস। তবে সঠিক ডায়েট এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মানলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিডনি স্টোনের জন্য ডায়েটে ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার দিনে তিনবার রাখতেই হবে। শরীর আর্দ্র রাখতে হবে এবং বেশি নুন ও চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।