নানা পুষ্টিগুণের পাশাপাশি হার্ট ভালো রাখতে ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ উপকারি আমন্ড। নানা গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে ডায়েটে তাই অবশ্যই রাখুন এই ড্রাই ফ্রুটস। ফাইবার ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ আমন্ড হৃদরোগের সমস্যা দূর করে, ওজন কমায় বলে জানালেন ঋতিকা সমাদ্দার, ম্যাক্স হেলথকেয়ারের রিজিওনাল হেলথ-ডায়াটেটিক্স।
International Journal of Obesity-তে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে আমন্ড ডায়েটে রয়েছে ৩৯ শতাংশ ফ্যাট, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ হার্টকে সুস্থ রাখার উপযোগি মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেখানে নন-আমন্ড ডায়েটে সাধারণত থাকে মোট ১৮ শতাংশ ফ্যাট, যার মধ্যে ৫ শতাংশ মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট।
গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিনের স্ন্যাক্সে আমন্ড রাখলে এটি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমন পেটের চর্বি কমায়।
কোন সময়ে আমন্ড খাবেন
দুটি মিলের মধ্যে যখন আপনার খিদে পাবে, বা আপনার নোনতা বা কুকিজ জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করবে, তখন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে আমন্ড খেতে পারেন। মিড-মর্নিং বা মিড-আফটারনুন স্ন্যাক্স হিসেবে যে কেউ খেতে পারেন একমুঠো আমন্ড।
কীভাবে ডায়েটে যোগ করবেন আমন্ড
জলে ভিজিয়ে: কাঁচা আমন্ড সারা রাত জলে ভিডিয়ে তারপর খোসা ছাড়িয়ে সকালে বা দুপুরের স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন। সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখলে আপনার শরীরে আরও বেশি করে পুষ্টি প্রবেশ করে।
গুঁড়ো করে: আমন্ড শুকিয়ে গুঁড়ো করে নানা ধরনের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু কোনও ডেজার্টও।
স্মুদি বা শেক তৈরি করে: প্রতিদিন আপনার যদি স্মুদি বা শেক খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তাতেও দিয়ে দিতে পারেন একমুঠো আমন্ড। এতে আপনার শরীরে প্রোটিন, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার প্রবেশ করবে।
তবে খেয়াল রাখবেন প্রতিদিন একমুঠোর বেশি আমন্ড খাবেন না। বেশি ড্রাই ফ্রুটস খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়।