ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্যরষ্মি। এর পাশাপাশি মাশরুম, ফ্যাট জাতীয় মাছ, দুগ্ধজাত খাবার থেকে খুব কম পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। আর খাবারের মাধ্যমে এতটা কম পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় বলেই মানুষ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে শুরু করেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে এর থেকে বেশি খেতে শুরু করলেই দেখা দেয় সমস্যা। তখন শরীরে ফুটে ওঠে বিষক্রিয়া। তাই সবাধানের মার নেই।
কতটা ভিটামিন ডি প্রয়োজন?
আমেরিকার ডায়েটরি রেকমেনডেশন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৬০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন। এই পরিমাণ ভিচামিন ডি শরীরে পৌঁছালে শরীর ভালো থাকে।
ভিটামিন ডি টক্সিসিটি
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাসে ৬ হাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিটের বেশি ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছালে দেখা দিতে পারে সমস্যা। এক্ষেত্রে পরপর কয়েক মাস এই ঘটনা ঘটলেই দেখা দেবে মারাত্মক সমস্যা। এক্ষেত্রে শরীরে হবে ভিটামিন ডি টক্সিসিটি (Vitamin D Toxicity)। এই টক্সিসিটf থেকে শরীরে দেখা দিতে পারে হরেক সমস্যা। তাই সাবধান।
এবার এই ভিটামিন ডি বেশি খাওয়ার জন্য দেখা দিতে পারে এই সমস্যাগুলি-
কিডনির সমস্যা- শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ঠিক থাকা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি বেশি থাকলে রক্তে ক্যালশিয়াম বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত ক্যালশিয়ামকে শরীর থেকে বের করতে প্রচুর খাটতে হয় কিডনিকে। ফলে কিডনির উপর অহেতুক চাপ বাড়ে। দেখা দেয় সমস্যা।
অবসাদ- মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন। তবে ভিটামিন ডি শরীরে বেশি থাকলেও দেখা দিতে পারে অবসাদ, সাইকোসিসের মতো সমস্যা।
গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল কমপ্লিকেশন- রক্তে বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম জমলে তা অন্ত্রের স্বাস্থ্যও বিগড়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়ারিয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।