বহু গৃহস্থেই করোনা আবহে নানান ধরনের অসুখ লেগে রয়েছে। আবার কোথাও আর্থিক বিপর্যয়ও দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতিতে বাস্তুশাস্ত্র মতে একাধিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বাস্তুশাস্ত্র মতে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন উপায় অবলম্বন করলে মিলতে পারে কাঙ্খিত শান্তি।
- বলা হয়, বহু সময় বাড়িতে রোগ জ্বালা লেগে থাকে বাস্তু দোষের জন্য। সেই অনুযায়ী, বাড়ির আয়নার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ । আয়না মূলত প্রতিবিম্ব দেখার কাজে লাগানো হয়। তবে বাস্তুশাস্ত্র মতে বলা হচ্ছে, দক্ষিণের দেওয়ালে যদি আয়না রাখা হয়, তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। দক্ষিণের দেওয়ালে আয়না রাখলে বহু ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায় বলে জানানো হচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র মতে। এতে বাড়িতে রোগ জ্বালা দূর হয়, ঘরে ফেরে শান্তি।
- বাড়ি থেকে বেরিয়েই যদি সামনে কোনও গাছ, বা দেওয়াল থাকে তাহলে বাড়িতে ইতিবাচক প্রভাবের রাস্তা আটকে যায় বলে বিশ্বাস করা হয় বাস্তুশাস্ত্র মতে। সেই কারণেই , বাড়ির চৌকাঠ থেকে বেরিয়ে কোনও রকমের বাধা প্রদানকারী জিনিস থাকলে তা সরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি তা সরানো না যায়, তাহলে বাড়ির ভিতর সদর দরজারর মাথায় রাখুন আয়না। বিভিন্ন রকমের নেগেটিভ এনার্জিতে শুষে নিয়ে ঘরে তা পজিটিভ এনার্জি দেবে।আর তাতেই সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে বলে টিপস দিচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা।
- বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরে যদি ঘোড়ার নাল রাখা হয়,তাহলে তা শুভ প্রভাব দেয়। যে বাড়িতে এটি থাকে, সেই সংসারে ভাঙন আসে না বলে মনে করা হয়। ঘরে ফিরে আসে শান্তি ,সমৃদ্ধি। এছাড়াও ইংরেজি ‘ইউ’ অক্ষরের ন্যায় ঘোড়ার নাল ঘরের নিচের দিকে কোথাও টাঙিয়ে রাখলে তা ভালো ফল দেয়। এতে দূর হয় বাস্তুদোষ। এটি বাড়ি ছাড়াও অফিসে বা কারাখানাতে রাখলেও ভালো ফল দেয়।
- বহুদিন ধরে পূজা অর্চনা করেও কোনও লাভের লাভ হচ্ছে না? এই সমস্যা সমাধানের জন্য রাস্তাও বলে দিচ্ছে, বাস্তুশাস্ত্র মত। বলা হচ্ছে, কখনওই পুজোর সময় অন্যের প্রদীপ তেকে নিদের প্রদীপে আগুন ধরানো ভালো ফল দেয় না। এছাড়াও ঘি ও তেলের প্রদীপ দিয়েই সর্বদা পুজো অর্চনা করা উচিত বলেও মত প্রকাশ করছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা।