নেতিবাচকতক শক্তিকে ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করে কর্পূর । চিকিত্সার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। তাই শাস্ত্রের পাশাপাশি আয়ুর্বেদেও কর্পূরের বিশেষ উল্লেখ রয়েছে। কর্পূর জ্যোতিষশাস্ত্র এবং স্থাপত্য ব্যবস্থায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়।
কর্পূরের ব্যবহার-
- অনেকেই মনে করেন যে, তাঁদের দেবদোষ বা পিতৃদোষ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালালে ও শৌচালয়ে ২টি কর্পূর রাখলে এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- শনি, রাহু-কেতুর জন্য দুর্ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, আমাদের রাগও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাতে ঘুমানোর আগে কর্পূর জ্বালালে লাভ হতে পারে। এ ছাড়াও রাতে হনুমান চালিসা পাঠ করার পরও কর্পূর জ্বালাতে পারেন। এর ফলেও আকস্মিক ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- আবার বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও কাজে সফল না-হলে, রুপোর বাটিতে নিয়মিত লবঙ্গ ও কর্পূর জ্বালান। এর ফলে আটকে থাকা কাজ পুরো হতে পারে। পাশাপাশি অর্থাভাবও হয় না।
- অনেক সময় বাস্তুদোষের কারণে গৃহে শান্তি থাকে না। আবার কাজেও ক্ষতি হয়। বাস্তুদোষ দূর করার জন্য বাড়ি ও দোকানে কর্পূর রাখা যেতে পারে।
- বাড়িতে শুভ শক্তির স্থায়িত্বের জন্য সকাল-সন্ধ্যা ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালানো উচিত। এমন করলে বাড়িতে অশুভ শক্তির বাস হয় না।
- ভাগ্য মজবুত করার জন্য কর্পূরের সঙ্গে ১২টি সাবুদানা জ্বালান। বৃহস্পতিবার এই উপায় করেল আরও শুভ ফল পাওয়া যায়।
- অর্থাভাব দূর করার জন্য রাতে রান্নাঘর পরিষ্কার করে রুপোর বাটিতে লবঙ্গ ও কর্পূর জ্বালানো উচিত।