ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন খুব কম মানুষ রয়েছেন। হাই প্রোটিনের এক মারাত্মক সোর্স এটি। ছোট থেকেই আর কিছু হোক না হোক, ডিম খাওয়ানো কিন্তু যেকোনও মায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী সময়ে, শরীরের সাপেক্ষেই ডিম খাবেন কিনা এই নিয়ে মানুষের চিন্তা থাকে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যারা অ্যালার্জির রোগী, কিংবা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী তারাও কিন্তু ডিম খুবই কম মাত্রায় খান। তবে এ যেন এক নতুন সংযোজন! ডিম খেলেও নাকি বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস।
গবেষণা বলছে সারাদিনে একটি কিংবা দুটি ডিম খেলেও কিন্তু বাড়ছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মাত্রা। ব্রিটিশ জার্নালের এক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গেছে যারা সারাদিনে কিংবা সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণে ডিম খেয়েছেন তাদের মধ্যে কাজ করবার ক্ষমতা শারীরিক শক্তি অনেক বেশি তবে তার সঙ্গেই কোলেস্টেরল লেভেল অত্যধিক! এমনকি প্রয়োজনের তুলনায় ফ্যাটও বেশি তাদের শরীরে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণা জানান দিচ্ছে, মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা কম। এমনও জানা গিয়েছে ডিমের কুসুমে প্রাপ্ত, choline শরীরে অক্সিডেসন এবং প্রদাহ বাড়ায়। সেই থেকেই শরীরে কার্বোহাইড্রেট মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
মায়ো ক্লিনিকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুরগির ডিমের মধ্যে যথেষ্ট মাত্রায় প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল থাকলেও সেটি শরীরের পক্ষে খারাপ নয়। ভাল পরিসরের কোলেস্টেরল এবং এর থেকে ক্ষতি একেবারেই হয় না। এর সঙ্গে ফ্যাট নয়, স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি সম্পর্কিত।
সকলেই যে ডিম থেকে ডায়াবেটিক দ্বারা আক্রান্ত হবেন এমন কোনও সত্যতা নেই। তবে বেশি সমস্যা ছাড়াই যদি এটিকে ভক্ষণ করতে হয়, তবে নুন কিংবা গোলমরিচ দিয়ে সেদ্ধ খাওয়াই ভাল।