জীবনকে সুন্দর ও সহজ করে তুলতে আপনার প্রয়োজন সেক্স। তবে শুধু সেক্স হলেই হবে না, সেক্স হতে হবে আনন্দদায়ক ও নিয়মিত। এমনকি নিয়মিত আনন্দদায়ক সেক্স বাড়িয়ে দিবে আয়ু। তবে সেক্স যে শুধু রাতে করতে হবে এরকম কোনো নিয়ম নেই. আসুন জেনে নিই বাসি বিছানায় যৌনতায় মেতে ওঠার সুফল।
১. সকালে যখন সবে সূর্য মুখ দেখাতে শুরু করেছে, তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিছানা ছেড়ে দিনের কাজ শুরু করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে যদি জাগে অন্য কিছু তখন নিয়মরীতির পরোয়া করার প্রয়োজন নেই বলেই মত দিয়েছে ওই গবেষণা। তাতে অযথা মনের মধ্যে জমে থাকা অহেতুক বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। সকালে ও সব করলে দিন ভালো যাবে না, এমন কোনো মানসিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
২. সকালের শক্তি সঞ্চারণ – মোট ১,০০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ওই সমীক্ষার জন্য। যাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ সকালে সেক্সে করে দিনের বাকি কাজের বাড়তি শক্তি সঞ্চয় হয় বলে মত দিয়েছেন। ‘ম্যাট্রেস অ্যাডভাইজার’ নামে একটি সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সকালে সঙ্গীর সঙ্গে মিলন সারা দিনে কাজের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. অক্সিটোসিনের কার্যকারিতা- যে কোনো সময় যে কোনো যৌন অনুভূতির প্রত্যুত্তরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ অবশ্যাম্ভাবী। সেটা হতে পারে হস্তমৈথুন, স্ত্রী-পুরুষের চূড়ান্ত মিলন বা স্পর্শানুভূতি। এই হরমোন মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি দিতেও সহায়তা করে। সেটা রাতে হোক বা সকালে। ফলে সকালেই যদি মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি মেলে, তা হলে ক্ষতি কীসে?
৪. টেস্টোটেরনের উচ্চতা- সকালে শারীরিক চাহিদার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে টেস্টোটেরনের উচ্চতার মাত্রাও। টেস্টোটেরন শুধু মাত্র একটা হরমোনই নয়, এটা একটা অ্যানাবলিক স্টেরয়েড। ফলে টেস্টোটেরনের মাত্রা যদি উঁচুস্থানে থাকে তা হলে সকালে সেক্স করতে বাধা কোথায়? ভাবতে হবে এর উল্টো দিকটার কথাও। নিজের সক্ষমতার বহিপ্রকাশ ঘটানোর জন্য পুষে রাখা কোনো বিশ্বাস এফেক্ট করছে না।
৫. বন্ধন সুদৃঢ় হয়- বাসি বিছানায় সেক্স করতে দু’জনের মধ্যে কোনো এক জনের আপত্তি থাকতেই পারে। কিন্তু সেই আপত্তিকে এড়িয়ে অন্যের চাহিদায় সম্মতি দেওয়ার মধ্যে দিয়েই পারস্পরিক বোঝাপড়ার পাশাপাশি বন্ধনও আরও মজবুত হয় বলে মত জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা।