২০২২ সালের সরস্বতী পুজোর সূচনা হবে মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে। ০৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোর রাত ৩ টে বেজে ৪৬ মিনিট থেকে হচ্ছে। পঞ্চমীর পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত ৩ টে বেজে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। একই ভাবে সরস্বতী পূজা ০৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে। এই দিনেই বসন্ত পঞ্চমীর শুরু। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতী পূজার জন্য শুভ মুহুর্ত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৭ টা বেজে ৭ মিনিট থেকে রাত ১২ টা বেজে ৩৫ পর্যন্ত থাকবে।
সরস্বতী দেবীর উৎপত্তি
দেবীভাগবত পুরাণ অনুসারে, পরম কুস্মন্দেরে প্ৰথম অংশে দেবী সরস্বতীর জন্ম। তিনি বিষ্ণুর জিহ্বাগ্র থেকে উৎপন্ন হয়েছেন। সরস্বতী বাক্য, বুদ্ধি, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সকল সংশয় ছেদকারিণী ও সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী এবং বিশ্বের উপজীবিকা স্বরূপিনী। ব্রহ্মা প্রথম তাঁকে পূজা করেন। পরে জগতে তাঁর পূজা প্রতিষ্ঠিত হয়। সরস্বতী শুক্লবর্ণা, পীতবস্ত্রধারিণী এবং বীণা ও পুস্তকহস্তা। তিনি নারায়ণ এর থেকে সৃষ্ট হন তাই তিনি তাঁকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে তিনি গঙ্গার দ্বারা অভিশাপ পান ও তিনি এক অংশে পুনরায় শিবের চতুর্থ মুখ থেকে সৃষ্ট হন ও ব্রহ্মা কে পতি রূপে গ্রহণ করেন। তারপর কৃষ্ণ জগতে তাঁর পূজা প্রবর্তন করেন মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে তাঁর পূজা হয়।
গঙ্গা, লক্ষ্মী ও আশাবারী যা সরস্বতীর পূর্ব জন্মের নাম, ছিলেন নারায়ণের তিন পত্নী। একবার গঙ্গা ও নারায়ণ পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসলে তিন দেবীর মধ্যে তুমুল বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের পরিণামে একে অপরকে অভিশাপ দেন। গঙ্গার অভিশাপে আশাবারী নদীতে পরিণত হন। পরে নারায়ণ বিধান দেন যে, তিনি এক অংশে নদী, এক অংশে ব্রহ্মার পত্নী ও শিবের কন্যা হবেন এবং কলিযুগের পাঁচ হাজার বছর অতিক্রান্ত হলে সরস্বতী-সহ তিন দেবীরই শাপমোচন হবে। গঙ্গার অভিশাপে আশাবারি মর্ত্যে নদী হলেন এবং ব্রহ্মার পত্নী হলেন ও শিবের চতুর্থ মুখ থেকে সৃষ্টি হয়ে তার কন্যা হলেন।