হোলির একদিন আগে সারা বাংলায় পালিত হয় ন্যাড়াপোড়া। অনেকে আবার একে বুড়ির ঘর, ছোট হোলি ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এদিন ঘর ও ঘরের চারপাশ থেকে নেতিবাচক ও অশুভ শক্তি যাতে দূর হয়, তার জন্যই হোলিকা দহনের আগে এই রীতি মেনে চলা হয়। হোলিকা দহন মানেই হল আগুনে পুড়ে সব অশুভ শক্তির বিনাস ঘটুক। গৃহে শুভ ও পবিত্র পরিবেশ যাতে তৈরি হয়, তারজন্যই এই ব্যবস্থা। তাই হোলিকা দহনের দিন, গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি ও জীবনে সাফল্য অর্জন করতে কী কী জিনিস একেবারেই প্রবেশ করাবেন না, আগে কোনগুলি সরিয়ে দূর করবেন, তা জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ভাঙা জুতো ও চপ্পল ঘরে রাখলে ধনলক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হোন। তাই হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়ার দিনের আগেই পুরনো চপ্পল ও জুতো সরিয়ে ফেলুন।
- বাস্তু মতে, কোনও ভগবানের মূর্তি যদি ভাঙা থাকে, তাও ঘর থেকে সরিয়ে জলে ভাসিয়ে দিতে পারেন।
- শুকনো তুলসী গাছকে শুভ বলে মনে করা হয় না। তাই হোলিকা দহনের আগে তুলসী গাছ লাগান। গোলিকা দহনের আগে যদি কোনও পূর্ণিমা থাকে বা দোল পূর্ণিমার দিন বাড়িতে তুলসী গাছ আনতে পারেন। তাহলে তা শুভ ফল দেয়।
- হোলিকা দহনের আগে বাড়ি থেকে একটি নতুন ঝাড়ু নিয়ে আনু। ঝাড়ু যদি পুরনো হয়ে যায়, তাহলে ফেলে দেবেন না। তার পরিবর্তে নতুন ঝাড়ু কিনে আনুন। পুরনো ঝাড়ু মাটিতে পুঁতে রাখতে পারেন।
- অনেক সময় পুরনো জামাকাপড় আলমারিতে ঠাসা থাকে। হোলিকা গহনের আগে পুরনো কাপড় দান করে দুঃস্থদের দান করতে পারেন। বাস্তুমতে পুরনো জিনিস বাড়িতে বেশিদিন রাখা উচিত নয়। এছাড়া এমন কাপড় দান করুন যেটি নতুন বা অপরকে দেওয়ার মতো উপযুক্ত বা অনেকদিন ধরে নতুন পোশাকই ব্যবহার করা হয়নি।