ওয়ার্ক আউটে আপত্তি? একগ্লাস রেড ওয়াইন খেয়ে নিন। এমনটাই বলছে গবেষণা। কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রেড ওয়াইনের মধ্যে ‘রেসভারেট্রল’-এর মতই একটি যৌগ রয়েছে। ওয়ার্ক আউট করার সময় আমাদের শরীরে তৈরি হয় এই ‘রেসভারেট্রল’।
‘রেসভারেট্রল’ কী?
লাল আঙুর, ব্লুবেরি, পিনাটে পাওয়া যায় এই ‘রেসভারেট্রল’। মূলত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণাগুণের জন্যই এর পরিচিতি। এর মাধ্যমে গাছেরা পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করে থাকে। যেমন, সূর্যকিরণে ক্ষতি ও ফাংগাস আক্রমণ থেকে আঙুর নিজেদের রক্ষা করে।
মানব শরীরে এই ‘রেসভারেট্রল’ কোষের DNA-কে রক্ষা করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ও মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে। কারণ ফ্যাট কোষের বৃদ্ধির হার কমিয়ে দেয় ‘রেসভারেট্রল’। এছাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখা প্রভৃতি কাজও করে থাকে ‘রেসভারেট্রল’। রেড ওয়াইনের প্রতি ৮ আউন্সে ১ থেকে ২ মিলিগ্রাম এই ‘রেসভারেট্রল’ থাকে।
তবে একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাদের নতুন করে হাতে ওয়াইন গ্লাস তুলে নিতে হবে না। একমুঠো আঙুর খেলেও একই ফল দেবে। আঙুরের রসেই যে রয়েছে মেদ ঝরানোর আসল চাবিকাঠি এল্যাজিক অ্যাসিড।
কী এই এল্যাজিক অ্যাসিড?
এটি আসলে একটি ফেনল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ফ্যাটিঅ্যাসিড। আঙুর ছাড়াও আরও নানা ফল-সব্জিতে থাকে। শরীরে ফ্যাটের বাড়বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে এল্যাজিক অ্যাসিড। সেই সঙ্গে নতুন করে ফ্যাট জমতে দেয় না। আসলে ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে ফ্যাট তৈরি হয়। লিভারের ভিতরে ফ্যাটি অ্যাসিডের বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয় রাসায়নিকটি। তাই নতুন করে ফ্যাট তৈরি হয় না। লিভারের কাজ করার ক্ষমতাও বাড়ে। কমে ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত অসুখ।