AOL Desk: পুরুষদের শরীরে দানা বাঁধে এমন একটি সবচেয়ে সাধারণ ক্যানস্যার হল প্রোস্টেট ক্যানস্যার। ৬০ বছর বয়সের পর পুরুষদের শরীরে এই ক্যানসারের প্রকোপ দেখা যায়। সমস্যা হল প্রাথমিক পর্যায় এই ক্যানসারের কোনও লক্ষণ ধরা পড়ে না। শরীরের অন্য অংশে ছড়ানোর পর এর লক্ষণ প্রকাশ্যে আসে। এ কারণে কিছু নির্দিষ্ট সমস্যার প্রতি পুরুষদের সজাগ দৃষ্টি দিতে বলেন চিকিৎসকরা।
প্রোস্টেট ক্যানসারের কারণ:
প্রোস্টেট ক্যানসার প্রোস্টেট থেকে তৈরি হয়ে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। খুব দ্রুততার সঙ্গে এই ক্যানসার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধরনের ক্যানসারের কারণ এখনো জানা যায়নি, কিন্তু এর জিনগত প্রবণতা আছে বলে জানা গেছে। যাদের পরিবারে পুরুষ সদস্য এই ক্যানসারে ভুগছেন তাদের পরিবারে স্বাভাবিক জনসংখ্যার তুলনায় এই ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা প্রায় ১০ গুণ বেশি হয়। অতএব, সচেতনতা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়ই এটি মোকাবিলার একমাত্র চাবিকাঠি।
ডঃ পাল কুখ্যাত এই ক্যানসারের সতর্কতা এবং লক্ষণগুলি বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ:
প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় একটি বেদনাদায়ক বা জ্বলন্ত সংবেদন:
প্রস্রাবের সময় আপনার মূত্রনালিতে ব্যথা হওয়ার কারণে আপনি কি মূত্র চেপে রাখেন? তাহলে এই মুহূর্ত থেকে আপনার এই অভ্যেস বন্ধ করা উচিত। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ বা বীর্যপাত এই ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ করা প্রয়োজন।
প্রায়শই রাতে প্রস্রাব করা:
যদি আপনাকে রাতে বারবার বাথরুমে যেতে হয় তাহলে সতর্ক থাকুন। এটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেট গ্রন্থির বেড়ে যাওয়া বা এমনকি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকিও হতে পারে। সিরাম পিএসএ পরিমাপের একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষা এই সম্পর্কিত ঝুঁকি আদেও আছে কি না তা বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
প্রস্রাব বন্ধ করা বা শুরু করতে অসুবিধা:
এটি আরেকটি উদ্বেগজনক লক্ষণ যা আপনার উপেক্ষা করা উচিত নয় এবং আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আকস্মিক ইরেকটাইল ডিসফাংশন:
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের কারণে যদি আপনার যৌন জীবন হঠাৎ ব্যাহত হয় তাহলে প্রোস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা বাদ দেওয়া যায় না।
প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত:
প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত দেখতে পেলে আতঙ্কিত হবেন না। প্রোস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কি না তা জানতে আপনার ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।