আমবাতের সমস্যা কিন্তু অধিকাংশের রয়েছে। এমন চুলকানির সমস্যায় প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের জীবনে কোনও না কোনও সময়ে প্রভাবিত করে। লাল রঙের ফোলা ফোলা অংশ ও তার চারপাশ জুড়ে চুলকানি দেখা যায়। ফোলার অংশগুলি কতকটা মশার কামড়ের পর যেমন ত্বকের উপর ফোলাভাব তৈরি হয়, তেমনি আমবাতের ক্ষেত্রেও তেমনটা দেখা যায়।
অধিকাংশ প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যার প্রতিকার পেতে চান। প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া ভাবে করলে ত্বকের জ্বালাভাব দ্রুত কম হ.য়, চুলকানিও বন্ধ হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে আমবাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই টিপসগুলি গ্রহণ করতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
আমবাতের জন্য সবচেয়ে ভাল প্রতিকার। অ্য়াপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করলে ভয়ংকর আমবাতের চুলকানি দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালাভাবও কমে যায়। একটি ভেজা সুতির কাপড়ের তোয়ালেতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার আমবাতের উপর প্রয়োগ করুন।
এশেনসিয়াল অয়েল- আমবাতের চুলকানি কমাতে এশেনসিয়াল অয়েলের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালাভাব কমাতে ও দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পেপারমিন্ট, ট্রি টি ও ল্যাভেন্ডার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল- আমবাত সারিয়ে তুলতে নারকেল তেল বেশ কার্যকরী। সুন্দর ত্বকের জন্য যেমন দারুণ উপকারী, তেমনি এই প্রাকৃতিক তেলতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। আমবাত নিরাময়ের জন্য এটি সর্বোত্তম উপায়।
কীভাবে বানাবেন- একটি পাত্রের মধ্যে আধ কাপ নারকেল তেলের মধ্যে ৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল, ৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল, ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ও ৩ ফোঁটা লোবান তেল যোগ করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে ফেটিয়ে তা নরম ক্রিমের মতো তৈরি করুন। এবার ত্বকে এই মিশ্রণটি ভাল করে ব্যবহার করে মাসা জ করুন।
অ্যালোভেরার জেল– অ্যালোভেরা হল ত্বকের যেকোনও সমস্যার মুশকিল আসান। গরমে ত্বকের মধ্যে জ্বালাভাব ও চুলকানি হলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময়ও এই জেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। আমবাতের জন্য সেরা ফল পেতে গেলে অ্যালোভেরার জেলের একটি প্যাক বানাতে পারেন। একটি পাত্রের মধ্যে ১ কাপ অ্যালোভেরার জেল নিন। তাতে ৭ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল, ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল, ৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল, ৫ ফঁটা হেলিক্রিয়াম অয়েল যোগ করুন। সব অয়েল একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। আমবাত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা অনুভূতি হতে পারে।