প্রাচীন কালে রসুনের ব্যবহার হতো চিকিৎসার জন্য। যদিও এখনকার বিজ্ঞানীরাও মেনে নিয়েছেন রসুনের বহুবিধ গুণের কথা। রসুন মূলত মাটির তলায় জন্মায়। তাই এর মধ্যে উপস্থিত মিনারেলস গুলো সরাসরি মাটি থেকে আসে পর্যাপ্ত পরিমাণে। বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনের এই উপকারিতাগুলো মূলত এর মধ্যের সালফারের জন্য। এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয় আছে যেগুলোর জন্য রসুনের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় অনেকটাই।
রসুনের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কিছু জিনিস। যেমন – ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, ফাইবার। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। রসুন এমন একটি উপাদান যাতে সমস্ত রকমের পুষ্টিগুণ বর্তমান, যা যেকোনো মানুষের দরকার। কিন্তু রসুনে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।
রসুন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এমনকি সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি – কাশিতেও রসুনের উপকারিতা অপরিসীম। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে রসুন। এছাড়াও নিয়মিত রসুন খেতে থাকলে বেশি দিন সর্দিকাশি চলবেও না। তাই আপনার যদি ঠান্ডা লাগার ধাত হয়ে থাকে তবে শিগগির নিজের রোজকার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন রসুন।
সারা বিশ্বে প্রায় একটা বিরাট শতাংশের মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। রসুন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। উচ্চরক্তচাপ ও দুশ্চিন্তার মত রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। সমীক্ষায় দেখা গেছে রোজ রসুন খাওয়ার অভ্যেস থাকলে রক্তচাপ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে অ্যাল ও ডিমেনশিয়ার মত মস্তিষ্কের রোগের সম্ভাবনা কমায়।
রসুন রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের রসুন খাওয়ার ফলে প্রায় ১০ – ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমতে পারে।
রসুনের যে শুধু এতরকমের উপকারিতা আছে তাই নয়, রসুন ব্যবহার করা ও খুব সহজ। যেকোনো রান্নায় রসুন ব্যবহার করলে তার স্বাদ এমনিই বেড়ে যায়। তাই রসুন একই সাথে রান্নার স্বাদ ও বাড়ায় আবার স্বাস্থ্যএর ও কোনো ক্ষতি হয় না।