ওজন কমাতে সুষম আহার ও টানা কয়েকদিন সকালে উঠে দৌড়াতে পারেন। ওজন তো কমবেই ভাল থাকবে শরীর। নিয়মিত দৌড়ালে এনডরফিন হরমোনের নিঃসরণ হয়। এই হরমোন শরীরের স্টিমুলেন্টের কাজ করে ফলে শরীর চাঙ্গা থাকে। তবে শুধু শরীর নয় নিয়মিত দৌড়ালে চাঙ্গা হয় মনও। জেনে নিন কীভাবে-
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
দৌড়ালে কোর্টিসল(cortisol) নামক স্ট্রেস হরমোন(stress hormone) নিঃসরণের(secretion) গতি স্লথ হয়ে যায়। এর ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত উদ্বেগ বা চাপ হওয়ার উপক্রম হলেও তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাপনের বাঁধা কাটিয়ে কীভাবে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার কাজও সহজ হয়ে যায়।
দৌড়ালে কার্যক্ষমতা বাড়ে
যে কোনও শারীরিক কসরত শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপন ও কার্যক্ষমতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে শরীরে বাড়তি শক্তির সঞ্চার হয়, দুশ্চিন্তার মোকাবিলা করা সহজ হয়, ক্লান্তি দূর হয় এর ফলে দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ হয়।
দৌড়ালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে
নিয়মিত দৌড়ালে দেখবেন প্রথম দিনের তুলনায় আপনার গতি বেড়েছে, প্রত্যেকদিনের লক্ষ্য মাত্রা সহজেই ছুঁয়ে ফেলছেন। নিজের তৈরি রেকর্ডেই যখন নিজে ভাঙবেন তখন দেখবেন নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আত্মসম্মানও বাড়বে। এর প্রতিফলন ঘটবে আপনার দৈনন্দিন জীবনের সব ক্ষেত্রেই।
দৌড়ালে মানসিক স্বাস্থ্যের ভাল থাকে
দৌড়ালে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে একাগ্রতা, স্মৃতিশক্তি ও কগনিটিভ ফ্লেক্সিবিলিটি মস্তিষ্কের যে অংশগুলির কার্যকারিতার ওপর নির্ভরশীল, দৌড়ালে সেগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে কোনও কাজে বা বিষয়ে মনোনিবেশ করতে সুবিধে হয়। পাশাপাশি দৌড়ানোর কারনে শরীরে থেকে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভাল হয়। ব্রেন টিস্যুতে নিয়মিত রক্ত পৌঁছানোর ফলে ক্ষতি বা ক্ষয়ের সম্ভাবনা অনেকখানি কমে যায়।