হিন্দু মতে এমন অনেক রীতিনীতি রয়েছে যা আমাদের মানতে হয়। কথিত আছে এই রীতি নীতি গুলো না মানলে সংসারে এবং জীবনে অনেক রকমের অনেক সমস্যা আসতে পারে। জীবন দুর্বিষহ হতে পারে। এই রীতিনীতির মধ্যে গৃহিণীদের মধ্যেও রয়েছে অনেক ধরনের অনেক আচার-বিচার। যা প্রায় প্রত্যেক ঘরের গৃহিণী রাই মেনে চলেন। হিন্দু বাড়ির এই নিয়ম কানুন গুলোর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে তুলসী গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
তুলসী কে নারায়ন এর প্রতীক বলে মনে করা হয়ে থাকে। মূলত ঠাকুরের আসনের সামনে বা বাড়ির উঠোনে তুলসী গাছ রাখা হয়। শনিবার দিন শনিবার মন্ত্রপাঠ করে পুজো দিলে জীবন আনন্দে এবং খুশিতে ভরে ওঠে। মাটির টবে তুলসী মঞ্চে এই গাছ অনেক যত্নসহকারে প্রতিষ্ঠা করা হয়। শাস্ত্র এবং বিধি মেনে তুলসী গাছ পুজো করা হয়। অনেকে সকাল-বিকেল নিয়ম মেনে তুলসী গাছ পুজো করেন সংসারের মঙ্গলের জন্য। তুলসী পাতা পুজোতেও কাজে লাগে।
যারা তুলসী গাছ কে শুভ বলে মনে করেন এবং ভগবান হিসেবে মানেন তারা কখনো তুলসী মঞ্চের পাশে আবর্জনা রাখবেন না এতে তুলসী গাছ নষ্ট হতে পারে। তুলসী গাছে নিয়মিত জল দেবেন না হলে তা শুকিয়ে যেতে পারে এবং তার জন্য সংসারের মঙ্গল আসতে পারে। তুলসী মঞ্চের আশেপাশেই জুতো চটি এগুলো কখনো রাখবেননা তালে তুলসী মঞ্চ অপবিত্র হতে পারে। সন্ধ্যেবেলা তুলসী মঞ্চ কখনো অন্ধকার রাখা উচিত না আর বিবাহিতরা ছাড়া তুলসী মঞ্চে কেউ হাত দিলে তুলসী গাছ শুকিয়ে যেতে পারে।
আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভের জন্য প্রতিদিন সকালে স্নান করে তুলসী গাছে জল নিবেদন করুন। জল দেওয়ার মনে মনে এই মন্ত্রটি বলুন– ‘তুলসী তুলসী বৃন্দাবন, তুলসী তুমি নারায়ন তোমার মাথায় ঢালি জল, অন্তিমকালে দিও স্থল।’