নথি অনুসারে দেবী দুর্গার প্রথম বড়ো করে পূজা শুরু হয় ১৫ শতকের শেষের দিকে। লোককাহিনি থেকে জানা যায়, দিনাজপুর ও মালদার জমিদাররা বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। আবার অন্য একটি সূত্র অনুসারে, তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ বা নদিয়ার ভবানন্দ মজুমদার বাংলায় প্রথম শারদীয় দুর্গাপুজো অর্থাৎ শরতের দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন। জায়গাটি ছিল সিলেট। তখন নাকি সাল ১৬০৬।
তবে বারোয়ারি পুজোর কৃতিত্ব দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের হুগলির গুপ্তিপাড়ার বারো বন্ধুকে। এই বারো জন বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে দুর্গাপুজো করেছিলেন। তাঁরা নিজেরা যেমন পুজোয় অর্থদান করেছিলেন, তেমনই সেই এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন এই পুজোর জন্য। তাই এই পুজোকে ‘বারো-ইয়ারি’ পুজো বা বারো-পাল নামে পরিচিত করা হয়। এটি ছিল একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্মিলিত ভাবে করা প্রথম পুজো। সময়টা ১৭৯০ সাল।
বারো-ইয়ারি পুজোর প্রথাটি কাশিমবাজারের রাজা হরিনাথ ১৮৩২ সালে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। তিনি মুর্শিদাবাদে তাঁর পৈতৃকবাড়িতে ১৮২৪ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুজো করেছিলেন।
১৯১০ সালে সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভা জনগণের পূর্ণ সহযোগিতায় কলকাতার বাগবাজারে প্রথম কমিউনিটি অর্থাৎ বারোয়ারি পুজোর আয়োজন করেছিল।
এখন সেই বারোয়ারি পুজোরই রমারমা দেখা যায় কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।