দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে গ্যাস্ট্রাইটিস (gastritis) এবং বদহজমের চিকিত্সার জন্য় জোয়ানের জল (Ajwain Water) হল জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার (Homemade Remedy)। শুধু হজমের সমস্যার জন্য নয়, ওজন কমাতেও (weight Loss) এই ভেষজ জলের রয়েছে দারুণ গুণ। ভারতীয়দের হেঁসেলে জোয়ান অতিপরিচিত একটি উপকরণ। তাই ব্যাপকভাবে ঘরোয়া প্রতিকারে কাজে লাগে এটি।
সর্দি-কাশির জন্য
সর্দি বা কাশিতে ভোগার সময় জোয়ানের জল খাওয়া দুর্দান্ত। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিটিউসিভ এবং ব্রঙ্কোডাইলেটিং বৈশিষ্ট্য, তাই কাশি কমাতে সহায়তা করে। আপনি যদি সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা বা হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন, তবে এক কাপ উষ্ণ জোয়ানের জল ব্যবহার করে দেখুন, অনেক উপকার পাবেন। জোয়ানে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের প্রভাবে ঠান্ডার সমস্যা কমে। বুকে জমা শ্লেষ্মা কাটাতে জোয়ানের জল খুব উপকারী। এছাড়াও গলায় ব্যথা হলেও জোয়ান ও লবণ মেশানো গরম জলের ভাপ নিলে তা দ্রুত কমে।
পেটব্যথার জন্য
বদহজম, পেট ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রাইটিস সহ পেট সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন, তাহলে জন্য জোয়ানের জল একটি খুব ভাল ঘরোয়া প্রতিকার। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ল্যাক্সাটাইভস থাকে। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়।
বাচ্চাদের জন্য
খুব ছোট শিশুদেরও নিরাপদে জোয়ানের জল দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের বদহজম নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে জোয়ানের জল নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি যে সব শিশুরা খাওয়ার সময় সমস্যা করে বা খিদে বাড়ানোর জন্যও এই ভেষজ জল খেতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য
ওজন কমাতেও জোয়ান বেশ কার্যকরী উপাদান। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় জোয়ান। এতেই ফ্যাট বার্ন হয়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে রাতে এক গ্লাস জলেতে জোয়ান ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে ওই জল পান করুন। জোয়ান ফাইভার সমৃদ্ধ তাই ওজন কমাতেও খুব সাহায্য করে।