ইউরিন ইনফেকশন কিন্তু বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি মূলত ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একটি সংক্রমণ। যা বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করে। রোজ ঠিকমতো স্নান করা না হলে, নিজের গোপনাঙ্গ পরিষ্কার না থাকলে, খুব টাইট অর্ন্তবাস পরলে, জল কম খেলে, প্রস্রাব বেশিক্ষণ চেপে রাখলে সেখান থেকে আসে ইউরিন ইনফেকশনের মত সমস্যা।
এছাড়াও মেয়েদের মেনোপজের সময় এবং যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও আসতে পারে এই সমস্যা। অনেকেই প্রস্রাব কিংবা মলত্যাগের পর গোপনাঙ্গ ঠিক মতো পরিষ্কার করেন না। সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে ইউরিন ইনফেকশন। আবার জামাকাপড় থেকে সাবান যদি ঠিকমতো ধোয়া না হয় পরবর্তীতে সেখান থেকেও হতে পারে সংক্রমণ। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ গুলি হল-
*বারবার বাথরুম পায় কিন্তু তা ঠিকভাবে হয় না।
*প্রস্রাবে এক রকম দুর্গন্ধ থাকে, সেই সঙ্গে প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়।
*গোপনাঙ্গে জ্বালা-চুসকুনি ভাব থাকে। সেই সঙ্গে সেখান থেকে দুর্গন্ধ হয়। কিছুক্ষেত্রে কিন্তু ব্যথাও থাকে।
*তলপেট কিংবা পিঠের নীচের দিকে তীব্র ব্যথা।
যে সব কারণের জন্য বার বার ঘুরে আসে ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা-
*এমন অনেকেই আছেন যাঁরা সারাদিনে খুব কম পরিমাণে জল খান। এতে শরীর বেশি শুকনো হয়ে যায়। শরীরের পর্যাপ্ত জলের চাহিদা মেটে না। সেখান থেকেও হতে পারে ইউরিন ইনফেকশনের মত সমস্যা।
*আঁটোসাঁটো অর্ন্তবাস পরা অনেকেরই অভ্যাস। এতে কিন্তু শরীরের বেশি ক্ষতি হয়। ঘাম জমে যায়, দুর্গন্ধ ওঠে আর সেখান থেকেও হতে পারে সংক্রমণ।
*স্নান করার পর কিংবা প্রস্রাব করার পর যদি গোপনাঙ্গ ঠিক মত ধোয়া না হয় কিংবা গোপনাঙ্গ যদি সব সময় ভেজা থাকে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
*যৌনসঙ্গমের পর গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়া একান্ত কর্তব্য। নইলে কিন্তু এখান থেকেও হতে পারে সংক্রমণ। এছাড়াও আসতে পারে একাধিক সমস্যা।
*দীর্ঘক্ষণ বাথরুম চেপে রাখা আপনার অভ্যাস? ভুল করছেন। এতে কিন্তু ব্লাডারের উপর বেশি চাপ পড়ে। আর সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তাঁদেরও হতে পারে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।