বাঙালি সংস্কৃতিতে, সময়ে সময়ে বাড়িতে পুজো করা নিত্য বিষয়। অনেক উপকরণ পুজোর পরে থেকে যায়। যা পুজো শেষে জলে ফেলে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু আমরা কি অন্য কোথাও এই উপাদান ব্যবহার করতে পারি না? যাতে আমরা মায়ের আশীর্বাদ সর্বদা পেতে পারি এবং আমাদের ঘর সুখ ও সমৃদ্ধিতে সমৃদ্ধ হয়। আসুন জেনে নিই বিপত্তারিনী পূজোর অবশিষ্ট উপকরণ আমরা অন্য জায়গায় কোথায় ব্যবহার করতে পারি।
বিপত্তারিনী ব্রতের পান ও সুপারি ব্যবহার করুন
প্রথমেই বলা যাক পূজায় ব্যবহৃত পান ও সুপারি সম্পর্কে। বাড়িতে পূজা শুরু হলে পানের ওপর একটি স্বস্তিক তৈরি করুন এবং তার ওপর গোল সুপারি রাখুন। এর পরে, এটি একটি সুতো বা লাল কাপড় দিয়ে পুজোর সময় পুরোহিত গণেশ দেবতার প্রতিষ্ঠা করেন। পূজার পর যদি এই উপাদানটি রেখে দেওয়া হয় তবে পান পাতা এবং সুপারি লাল কাপড়ে বেঁধে রাখতে হবে। এরপর আলমারিতে নিরাপদে রাখুন। এতে করে ঘরে ধন-সম্পদের প্রবাহ কখনও বন্ধ হয় না।
পূজার পর এভাবে নারকেল ছাড়বেন না
পূজা বা বিপত্তারিনী ব্রতের উপকরণে নারকেল একটি অপরিহার্য উপাদান। এই নারকেল শুকনো বা ভেজা হতে পারে। পূজা শেষ হওয়ার পরে, এই নারকেলটি বৃথা না ফেলে, এটি ভেঙে তারপর প্রসাদ আকারে সবার মধ্যে বিতরণ করুন। যদি আপনি এটি করতে না পারেন তবে এতে ঘি ঢেলে পুজোর যজ্ঞে দান করুন।
অবশিষ্ট সিঁদুর দিয়ে কি করবেন-
বাড়িতে অনুষ্ঠিত বিশেষ পূজা বা যজ্ঞে সিঁদুর একটি অপরিহার্য উপাদান। পুজো শেষ হলে অনেক সিঁদুর বাকি থাকে। এই অবশিষ্ট সিঁদুরটি ফেলে না দিয়ে, এটি একটি বাক্সে রাখুন এবং এটি নিরাপদ রাখুন। অতঃপর বিবাহিত নারীদের এই অবশিষ্ট সিঁদুর পড়তে পারেন। এটি করলে স্বামীর আয়ু দীর্ঘ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। বাড়িতে নতুন জিনিস আসায় এই সিঁদুর দিয়ে তিলক দিতে ভুলবেন না।
পূজায় ব্যবহৃত ফুল
পূজায় ফুল ও মালাও দেওয়া হয়। যজ্ঞে ও পুজোর পরে এই ফুলগুলি বিসর্জন না করে বাড়ির প্রধান ফটকে রাখুন। সেই ফুল ও মালা পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে এর শুকনো পাতা হাতে গুঁড়ো করে বাগানে বা হাঁড়িতে রেখে দিন। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হবে এবং গাছপালাও জৈব সার পাবে।
যজ্ঞে ও পূজা শেষে পুরোহিত চলে গেলে আমরা সাধারণত যজ্ঞে ও পূজোর পরে অবশিষ্ট ধাগা ফেলে না দিয়ে তা নিরাপদে পূজা ঘরে রেখে দিন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, পূজার ঘরে না রেখে সেই অবশিষ্ট ধাগা যদি দোকানের খিলান বা ঘরের আলমারিতে বেঁধে রাখেন। এর মাধ্যমে মা লক্ষ্মী সর্বদা আপনার প্রতি সদয় থাকবেন এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধির যোগ থাকবে।