অনেকেই হয় তো জানেন না যে, বাস্তুশাস্ত্রে (Vastu Shastra) এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা মেনে চললে কেরিয়ারে (Career Growth) উন্নতি হয়। আসলে, বাস্তুশাস্ত্র হল ভারতের প্রাচীন বিজ্ঞান, যেখান থেকে ইমারত ও বাড়ি বানানো এবং তার ডিজাইন বানানোর একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। এ বার জেনে নেওয়া যাক, কাজের সময় বাস্তুশাস্ত্রের কোন কয়েকটি বিষয় মেনে চললে কেরিয়ারে উন্নতি অবশ্যই হবে।
কেরিয়ারে উন্নতির জন্য মেনে চলতে পারেন বাস্তু সংক্রান্ত এই টিপসগুলি:
কাজের সময় যখন ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়, তখন তার অভিমুখটা খেয়াল রাখা উচিত। মনে রাখতে হবে, কাজের জন্য ব্যবহৃত যে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইজের অভিমুখ যেন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হয়। সেই সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে যে, ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইজের তার অথবা কেবল যেন জট পাকিয়ে না-থাকে। আর সেই সব তার বা কেবল টেবিলের উপর ছড়িয়ে রাখাও ঠিক নয়।
কী ভাবে বসে কাজ করা হয়, তার উপরও নির্ভর করে কেরিয়ারের উন্নতি। খেয়াল করলে দেখা যায়, অনেকেই একটা পায়ের উপর আর একটা পা তুলে বসে কাজ করতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। আর এই অভ্যেসই কিন্তু কেরিয়ারের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অফিসে হোক বা বাড়িতে এমন চেয়ারে বসে কাজ করতে হবে, যে চেয়ারের পিছনের অংশটা অনেকটা উঁচু থাকে। এই অভ্যেসের ফলে কেরিয়ারে দারুণ উন্নতি হবে।
যে হেতু ওয়ার্ক ফ্রম হোমই এখন ভরসা, তাই ঘরেই সবাই বানিয়ে নিচ্ছেন ওয়ার্ক স্টেশন। তবে ঘরের ওয়ার্ক স্টেশন শোওয়ার ঘরের আশেপাশে না হওয়াই ভাল। আর সব সময় চৌকো মানে আয়তাকার অথবা বর্গাকার ডেস্ক ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। গোলাকার ডেস্ক ব্যবহার না-করাই ভাল।
ক্রিস্টালের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে এনার্জির জোগান দেয়। সেই সঙ্গে কাজের দক্ষতাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাই নিজের কাজের ডেস্কে কোয়ার্ৎজ ক্রিস্টাল রাখা ভালো। তা ছাড়া, ডেস্কে ছোট্ট বাঁশ গাছ রাখলেও উপকার পাওয়া যায়।
বাস্তু মতে, ঘুমোনোর সময় পূর্ব দিকে মাথা দেওয়া উচিত। এর ফলে কেরিয়ারে উন্নতির সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এতে মনোযোগ বাড়ে। আর কাজের সময় উত্তর দিকে মুখ করে বসা উচিত। আর খেয়াল রাখবেন, উত্তরে মুখ করে কাজে বসলে পিছন দিকে যেন দেওয়াল থাকে। আর যে দিকে, মুখ করে কাজে বসছেন, সে দিকে জানলা না-থাকাই ভালো। তাতে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
আর সব শেষে একটাই কথা, যে কোনও ক্ষেত্রে উন্নতি বা সাফল্য এই সব কিছু নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর। তাই যখন কিছু মানা হবে, তখন সেটা একদম মন থেকে সরল বিশ্বাসে মানতে হবে। তাতেই একদম ম্যাজিকের মতো কাজ হয়!