ঝাপসা দেখা, চোখের জ্বলন, চুলকানি, লাল ভাব, আপনাকে বিরক্ত করছে। যদি এই সকল সমস্যা আপনার হয়ে থাকে তাহলে জেনে নিন এগুলিই শুষ্ক চোখের লক্ষণ। আমাদের চোখে অনেক গ্রন্থি আছে। এগুলি চোখকে নিরাপদ রাখে।এগুলি কোনও কারণে বন্ধ হয়ে গেলে বা গ্রন্থিগুলি থেকে জল নিঃসরণ কম হলে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। চোখের ভালো থাকার জন্য দরকার লুব্রিক্যান্ট। যখন অশ্রুগ্রন্থি পর্যাপ্ত লুব্রিক্যান্ট উৎপাদন করতে পারে না তখনই ড্রাই আইজের মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
চোখে কাঁটা বিঁধে থাকার মতো অনুভূতি, খচখচ করা, চোখ দিয়ে জল পড়া। মাথাব্যথা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, লালাগ্রন্থির নিঃসরণ কমে যাওয়া এ-সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। ডাক্তাররা সাধারণত স্লিট ল্যম্প পরীক্ষা, কর্নিয়া এবং শিমার স্টেস্ট মাধ্যমে এই রোগ চিহ্নিত করে থাকেন।
বয়স বাড়লে এই সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পরে এটি হয়। অতিরিক্ত এসি রুমে থাকলেও ড্রাই আইজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দূষিত আবহাওয়া ড্রাই আইজের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া ভিটামিন এ-র অভাবেও এই রোগ হতে পারে। যদি সঠিক সময় চিকিৎসা না হয় তাহলে দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে।
অনেকে কৃত্রিম উপায়ে চোখের জল তৈরি করার জন্য চোখের ড্রপ নিয়ে থাকেন। এই সকল ড্রপ আপনার চোখে লুব্রিকেট তৈরি করতে সাহায্য করে। অনেকে আবার ওমেগা-৩ ক্যাপসুল ব্যবহার করতে বলেন। চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সফট কন্টাক্টলেন্স ও চশমা ব্যবহার খুবই উপযোগী। প্যারোডিট-ডাক্ট প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও চোখের শুষ্কতা দূর করা যায়।