জুস খাওয়ার কথা মাথায় আসলে নিশ্চয়ই গাজরের জুসের কথা প্রথমেই আপনার মাথায় আসবে না। কারণ কমলা, আপেল, আঙুর এবং আনারসের জুস এর থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু। যদি আস্ত গাজর খাওয়ার অভ্যাস না থাকে, তাহলে জুস তৈরি করে খেলেও আপনি এর সব রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
আমরা সবসময়ই আপনাদের জন্য চমৎকার সব নতুন তথ্য হাজির করার চেষ্টা করি। এই লেখাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আশা করি লেখাটি পড়ার পর আপনি নিয়মিত গাজরের জুস খাওয়া শুরু করবেন।
মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করবে
গাজরের ভিটামিন বি দেহের চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট ভেঙে তাদের শক্তিতে পরিণত করে। এর ডায়েটারি ফাইবারও রয়েছে, যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্থূল হওয়া থেকে রক্ষা করে।
চোখের জন্য উপকারি
এর ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতকানা রোগ থেকে রক্ষার পাশাপাশি চোখের সুরক্ষাও দিয়ে থাকে ভিটামিন এ। বয়স জনিত মলিকুলার ডিজেনারেশনের মতো সমস্যা থেকেও গাজরের জুস আপনাকে রক্ষা করবে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
গাজরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো র’ক্তে শ্বেত কণিকা। এটি টি সেলের বৃদ্ধি এবং উৎপাদনকে তরান্বিত করার মাধ্যমে দেহের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। পুরো ইম্যুনো সিস্টেমেও এর ভিটামিন সি চমৎকার ভাবে প্রতিরক্ষা দেয়।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
গাজরে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তাদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ তারা দেহ কোষের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলকে নিষ্ক্রিয় করে। ফ্রি র্যাডিকেল আপনার ডিএনএও নষ্ট করে দিতে পারে। গাজরের ডায়েটরি ফাইবারও ক্যানসারের ঝুঁকি নিরাময় করে।
ত্বকে করে স্বাস্থ্যোজ্জল
গাজরের ভিটামিন সি, ই ও কে ত্বককে করে তোলে স্বাস্থ্যোজ্জল এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর সূর্যরশ্মিকে প্রতিহত করে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে বয়সের ছাপও কমাতে পারে এই গাজর।
গর্ভাবস্থায় খুব উপকারি
গর্ভাবস্থায় মায়েদের ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন সি এর চাহিদা বেড়ে যায়। গাজর এই সবগুলো উপাদানে ভরপুর।
মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে
গাজরের বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়িয়ে আপনাকে চৌকস করে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়া মানসিক চাপ দূর করে মনে প্রশান্তি এনে দিতেও অসাধারণ কাজ করে এই কমলা রঙের ফলটি।
হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়
গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশ কার্যকর। পলিফেনল, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ গাজরের জুস র’ক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।