ঠান্ডা লেগে গলা খুসখুস করলে বা দীর্ঘদিনের কাশি থাকলে, আপনি অবশ্যই মধু খেতে পারেন। কীভাবে? মধু দিয়ে পাঁচন তৈরি করে তা খেয়ে নিন। আপনি মনে রাখবেন, গরম টক পানীয় গলার কাছে জমে থাকা কফ বের করে আনে। এবং গলার ইরিটেশন কমে যায় মধুর জন্য। নিয়মিত খেলে আপনার কাশি ঠিক হয়ে যায়। শীতকালে মধুর উপকারিতা সম্বন্ধে আপনিও জেনে নিন।
রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে
মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। একইভাবে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায় (benefits of honey)
প্রায় সবার বাড়িতেই কিন্তু মধু রাখা থাকে। কেউ চিনির বদলেও ইদানীং মধু ব্যবহার করেন। আবার মেদ কমাতেও মধুর বিকল্প নেই। কিন্তু মধুর সবথেকে বড় গুণ হল, মধু সর্দি-কাশি নিরমায় করে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে তুলশি ও মধু খান, তবে আপনার ঠান্ডা লাগবেই না। আবার পুরনো কাশিও সেরে যাবে (benefits of honey in winter)।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মধু
শীতকালে এবং বিশেষত এই বছর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার প্রয়োজন। আর মধু আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। তা আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখবে এবং অসুখের থেকে বাঁচাবে। এমনকী স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতেও সাহায্য করে মধু। কারণ, এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মস্তিষ্ককে প্রোটেক্ট করে। ফলে, স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখে। একইসঙ্গে অ্যালজ়াইমার’স-র মতো অসুখের সম্ভাবনাও অনেকটা কমিয়ে দেয়। তাই শীতকালে মধুর উপকারিতাই শেষ নয়, সারা বছর একইভাবে মধু আমাদের সুস্থ রাখে, ভাল থাকতে সাহায্য করে।