আয়ুর্বেদে নানা রোগের প্রতিকারে জবা ফুলের গুঁড়ো ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আসলে, জবা ফুলে রয়েছে বিবিধ খনিজ এবং ভিটামিন। এছাড়া বিবিধ ভেষজ উপাদানও বর্তমান। পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজের সঙ্গে আছে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন। এছাড়া আছে অ্যান্থোসায়ানিন নামে যৌগ। আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনোলিক অ্যাসিড নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ভিটামিন সি নিজেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানটি আমাদের শরীরে ফ্রি র্যা ডিকেলস ধ্বংস করে। কোষের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ হল ফ্রি র্যা ডিকেলস। শরীরে ফ্রি র্যা ডিকেলস-এর মাত্রা বাড়লে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়।এছাড়া হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, কোলেস্টেরল, ক্যান্সারের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। জবা ফুলের গুঁড়ো নানা ভাবে সেবন করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
কীভাবে তৈরি করবেন জবাফুলের পাউডার? কয়েকটি ফুল নিন। বৃন্ত বাদ দিন। লম্বা শিষ বাদ দিন। শুধু পাপড়ি রোদে শুকিয়ে নিন। এবার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে একটি জারে রেখে দিন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
অ্যান্টিটিউমার : জবার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে যে কোনও ধরনের ক্যান্সারযুক্ত টিউমার তৈরি হওয়া আটকায় জবা ফুলের গুঁড়ো।
হজম ক্ষমতা : হিবিসকাস সামান্য ডাইইউরেটিক অর্থাৎ রেচনকার্যের মাধ্যমে শরীর থেকে নুন ও জল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই কারণে মলে জলের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া অন্ত্রের আকুঞ্চন ও প্রসারণেও সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এভাবে পরিপাকতন্ত্রের কাজে উন্নতি ঘটিয়ে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে করে।
হাইপোগ্লাসেমিক এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান: হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হাইপোগ্লাসেমিক এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান। এই দু’টি উপাদানের কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে না। এর ফলে রক্তবাহী নালীতে প্লাক জমতে পারে না। রক্ত সঞ্চালনে কোনও সমস্যা হয় না। হার্ট থাকে সুস্থ। স্ট্রোকও প্রতিরোধ করা যায়।