কাশিতে
নিয়মিত অল্প একটু করে জোয়ান খেলে সর্দিকাশির কষ্ট দূর হয়।
ম্যালেরিয়া জ্বরে
জোয়ান খেলে ম্যালেরিয়া জ্বরের শীতের প্রকোপ কম হয়, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে।
সর্দিতে
জোয়ান পিষে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে শরীরে মালিশ করলে ঘাম বেরিয়ে সর্দির কষ্ট দূর হয়। পিষে পুঁটলি তৈরি করে নাকে ধরলে সর্দি কমে যায়।
শ্বাসকষ্টে
জোয়ান গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শ্বাসের কষ্ট দূর হয়। জোয়ানের আরক খেলেও উপকার হয়।
পেটের অসুখে
জোয়ান খেয়ে গরম জল খেলে পেটের শূল ব্যথা কমে। মুখে থুতুর আধিক্য, অজীর্ণ এবং বদ্ধ বায়ুর প্রকোপ কমে।
আমবাতে
জোয়ান গুড় মিশিয়ে খেলে আমবাত সারে।
বায়ু ও অম্লে
চাটুতে জোয়ান সেঁকে নিয়ে সমান পরিমাণ সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে পিষে নিতে হবে। গরম জলের সঙ্গে এই চুর্ণ খানিকটা খেলে পেটের বায়ু দূর হয়।
প্রসূতির জন্য উপকারী
জোয়ান খাওয়ালে প্রসূতির খিদে বাড়ে। খাবার হজম হয়, বায়ু মুক্ত হয়, কোমরের ব্যথা কমে।
হাত-পা ঠান্ডা হলে
জোয়ান জল দিয়ে পিষে নিয়ে শরীরে মালিশ করলে শরীর গরম হয়। জোয়ানের পুঁটুলি তৈরি করে চাটুতে গরম করে হাতে পায়ে সেঁক দিলে বিভিন্ন কারণে যেমন কলেরা বা আন্ত্রিক রোগ, টাইফয়েড বা হাঁপানির কষ্টের জন্যে ঠান্ডা হওয়া হাত-পা ক্রমশ গরম হয়।
বহুমূত্র রোগে উপকারী
জোয়ান আর তিল একসঙ্গে পিষে খেলে বহুমূত্র রোগের (ডায়বেটিসের) প্রকোপ কমে।
ত্বক ও চুলের যত্নে
জোয়ানে ছত্রাকরোধী কার্যকারিতা রয়েছে। ফলে চুল ও ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণের কারণে হওয়া সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে জোয়ান।
অর্শর ব্যথায়
জোয়ান ও গুড় সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে পিষে সকালে ও সন্ধ্যায় অল্প করে খেলে অর্শের ব্যথা কমে। কোমরের ব্যথা সারে।
মাসিকের সময়ে
এই সময়ে হওয়া তলপেটের ব্যথা কমাতে এর উপকারিতা আছে।
রক্ত তরল করতে
পশুদের দেহের রক্ত তরল করার ক্ষমতা রাখে এই জোয়ান।
ক্রিমিতে
জোয়ান প্রাকৃতিক ভাবে ও স্বাভাবিক ভাবে ক্রিমি বের করে আনার ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।