আমাদের যাদের ওজন বাড়ার ধাত আছে, তাদের পক্ষে ওজন কমানোটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। ইন্টারনেটে অনেক রকমের ওজন কমানোর উপায় আছে, এমনকি একদিনে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ওজন কমানোর উপায়ও আপনি পাবেন। আজ আমরা আপনাকে ছয়টি Weight Loss Tips জানাবো, যাতে আপনি স্বাভাবিক ভাবে নিজের ওজন কমাতে পারেন এবং নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারেন।
প্রসেসড খাবার বন্ধ করুন
অনেকসময়ই আমরা প্রসেসড এবং Canned খাবার খেয়ে নি। সময়ও বাঁচে আর খাবার গুলো খেতেও খুব একটা খারাপ না। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই প্রসেসড এবং Canned খাবার আপনার কতটা ক্ষতি করছে? আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে কিন্তু আপনার এই ধরণের খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না।
মিষ্টির পরিমান কমাতে হবে
মিষ্টি মানে যে কোনো রকমের মিষ্টিই – চিনি থেকে আরম্ভ করে ক্যান্ডি – যে কোনো রকমের মিষ্টি জিনিস খাওয়া বন্ধ করুন। যদি একান্তই খুব কষ্ট হয়, তাহলে মাসে একদিন অল্প ডেসার্ট খেতে পারেন। কিন্তু চা-কফিতে চিনির পরিমান কমিয়ে ফেলুন।
খাওয়ার আগে সুপ খেতে পারেন
সম্প্রতি একটা রিসার্চে জানা গেছে যে খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে যদি একবাটি স্যুপ খেয়ে নেওয়া যায়, তাহলে খিদে কম পায়। এর ফলে আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খান না এবং আপনার পেটও ভর্তি থাকে। ফলে আপনার ওজন কমতে বাধ্য।
জল খেতে হবে
জল খেলে ওজন কমে – কিন্তু তা বলে শুধু কি আর জল খেয়ে থাকতে বলছি? বলছি জল খাবার পরিমানটা বাড়াতে, আর নির্দিষ্ট সময়ে জল খেতে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ গ্লাস জল খান। এতে আপনার সিস্টেম ক্লিয়ার হয় এবং শরীরে জমে থাকা টক্সিন ফ্লাশ আউট হয়ে যায়। যখনি খাবার খাবেন, তার আগে এক গ্লাস জল খান, এতে আপনার পেট ভরা ভরা লাগবে এবং আপনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাবেন না। তা ছাড়া অনেক সময় আমরা তেষ্টা পেলে সফ্ট-ড্রিঙ্কস বা শরবত খেয়ে নি, তার বদলে জল খেয়ে তেষ্টা মেটান। এতে আপনার শরীরে এক্সট্রা ক্যালোরিও ঢুকলো না আবার তেষ্টাও মিটলো!
এক্সারসাইজ ছাড়া গতি নেই
নিয়মিতভাবে এক্সারসাইজ করুন, সেটা জিমে গিয়েই হোক কিংবা বাড়িতে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেই হোক। দিনে অন্তত এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
ঘুমনোও প্রয়োজন
ওজন কমানোর জন্য এবং সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঘুমোনোটা খুব প্রয়োজন। যদি ঘুম সম্পূর্ণ না হয়, তাহলে সারাদিন একটা ক্লান্তিভাব থাকে আর কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করে না। আর আপনি কি জানেন, ঘুম কম হলে খিদেও বেশি পায়? তাছাড়া ঘুম কম হলে ওবেসিটির মত সমস্যাও আসতে পারে, তখন কিন্তু ওজন কমাতে পারবেন না। তাই ঠিক সময়ে শুতে যান এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন।