সমীক্ষা বলছে, গড়ে ৫৯ শতাংশ পুরুষ ও ৬৬ শতাংশ মহিলা সম্পর্ক ভাঙেন চুমু নিয়ে অতৃপ্তির কারণে। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক কেমন তা আসলে চুমু দিয়ে যায় চেনা। খুব গভীর সম্পর্কের মধ্যেও চিড় ধরাতে পারে চুমু-র অতৃপ্তি। আবার সুন্দর, পরিপূর্ণ একটি চুমু ফিরিয়ে দিতে পারে হারিয়ে ফেলা উষ্ণতা।
টিপস ১: মন থেকে যাবতীয় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা সরিয়ে দিন। সম্পূর্ণ মনোযোগ যেন থাকে সঙ্গীর উপরে। তেমন অনুভূতিপ্রবণ হলে সামান্য অন্যমনস্কতাও ধরা পড়ে যায়। আর তেমন আনমনা চুমু কিন্তু আসলে সঙ্গীর অসম্মান।
টিপস ২: চুমু খাওয়ার সময়ে কোনও ট্যাবু বা দ্বিধা যেন মনের মধ্যে না থাকে। যদি সম্পর্কে তেমন কোনও বিতর্কিত বিষয় বা প্রশ্নচিহ্ন থেকেও থাকে, তো সেটা আগে মনে মনে নিষ্পত্তি করে নিন। না-হলে শুধু সঙ্গী নয়, চুমুর অতৃপ্তিটা গ্রাস করবে আপনাকেও।
টিপস ৩: পারিপার্শ্বিকের উপরে কিন্তু ভীষণভাবে নির্ভর করে তৃপ্তি। এমন কোথাও চুমু না-খাওয়াই ভাল, যেখানে দু’জনের কোনও একজনের বিরক্ত বা অস্বস্তি লাগছে।
টিপস ৪: লুকিয়ে চুমু খাওয়ার মধ্যে অসম্ভব একটা তৃপ্তি আছে। এতে চুমুর প্যাশন অনেক গুণ বেড়ে যায়। সম্পর্কের টান বাড়াতে ভীষণ জরুরি গোপন চুমু।
টিপস ৫: চুমু খাওয়ার সময়ে অনেকেই সঙ্গীর মুখটি হাতের মধ্যে ধরতে পছন্দ করেন। খুব প্যাশনেট চুমুর ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়তে থাকে হাতের চাপ।
চুমুর শুরুতে আপনার সঙ্গী এটা উপভোগ করলেও, যত সময় গড়ায় ততই অস্বস্তি তৈরি করে। তাই কয়েক সেকেন্ড পরে আলগা করে দিন হাতের রাশ।
টিপস ৬: একটানা অনেকক্ষণ চুমু অনেকেই ভালবাসেন। অনেক সময়ে দম বন্ধ করে দেওয়া চুমু একটা অন্য রকম তৃপ্তি নিয়ে আসে। তবে আপনার সঙ্গীর তেমনটা পছন্দ না-ও হতে পারে। সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
টিপস ৭: সঙ্গীর উচ্চতা যদি আপনার থেকে কম হয় তবে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় চুমু খেলে তাঁর ঘাড়ের এবং কাঁধের মাসল-এ স্প্রেইন হওয়া স্বাভাবিক। যত গভীর প্রেমই হোক না কেন, এইভাবে চুমু কেউ উপভোগ করেন না। চেতন মনে না-হলেও অবচেতনে এই অতৃপ্তিটা থেকেই যায়।
টিপস ৮: থেমে থেমে, মাথা এবং শরীরের পজিশন পাল্টে চুমু খেলে তার পরিতৃপ্তি অনেক বেশি হয় এবং সঙ্গীর সঙ্গে শরীর-মনের যোগাযোগও গভীর হতে থাকে।
টিপস ৯: ঠোঁট, জিভ এবং দাঁত হল তিনটি কমিউনিকশন টুল। সঙ্গী এইগুলির মাধ্যমে আপনাকে স্পর্শ করেন, কিছু বলতে চান। খুব যত্ন নিয়ে সেটা বুঝে, আপনিও তাঁকে বোঝান আপনার অনুভূতির কথা। অবশ্যই এই তিনটি প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করে।
টিপস ১০: ওরাল হেলথ এবং হাইজিন-সচেতন হয়ে দৈনন্দিন জীবনে চলাই ভাল। না-হলে চুমু ততটা মধুর হয় না তো বটেই, সংক্রমণ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণ থেকে বাঁচাই আমাদের মূল লক্ষ্য।